জুম’আর দিনে নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর আমল করলে প্রতি কদমে এক বছর নফল নামায ও এক বছর নফল রোযার সওয়াব হাসিল হয়। এই হাদীসটি মিশকাত শরীফে বর্ণিত আছে। বর্ণনা করেছেন ইমাম তিরমিযী, ইমাম আবূ দাউদ, ইমাম নাসায়ী ও ইমাম ইবনে মাজাহ রাহিমাহুমুল্লাহ। যার সম্পর্কে মোল্লা আলী কারী রহ. মিরকাত কিতাব লিখেছেন, সহীহ হাদীস দ্বারা এতো বেশি ফযীলত অন্য কোন নফল আমল সম্পর্কে পাওযা যায় না।
আমলগুলো এই-
০১. পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ সেরে উত্তমরূপে গোসল করা।
০২. জুম’আর দিনে জলদি মসজিদে উপস্থিত হওয়া।
০৩. মসজিদে পায়ে হেঁটে যাওয়া।
০৪. ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করা।
০৫. মনোযোগ সহকারে খুৎবা শোনা।
০৬. অহেতুক কথাবার্তা ও বেফায়দা কাজ না করা।
(ক) উপরোক্ত আমল ছাড়া আরও কিছু আমল রয়েছে, যেগুলো জুম’আর দিনে বিশেষভাবে করা চাই।
০১. উত্তম লেবাস পরিধান করা।
০২. আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা।
০৩. মিসওয়াক করা।
০৪. অধিক পরিমানে দুরূদ শরীফ পড়া।
০৫. সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।
০৬. সালাতুত তাসবীহ্ নামায পড়া।
০৭. বেশি বেশি দু’আ করা বিশেষ করে ইমাম যখন দুই খুৎবার মাঝখানে মিম্বরে বসেন, তখন দু’আ কবূল হওয়ার সময়। কাজেই সে সময় জিহ্বা নাড়াচাড়া না করে মনে মনে দু’আ করা (দিলে দু’আর বিষয়টি হাজির রাখা)।
০৮. সূর্যাস্তের পূর্বের সময়টি দু’আ কবূল হওয়ার সময়। সুতরাং তখন দু’আ ও ইবাদত মগ্ন থাকা।
(খ) হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, (সা:) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুম’আর দিন আসরেএ নামাযের পর নামাযের স্থান ত্যাগ করার পূর্বে এই দুরূদ শরীফটি ৮০ বার পাঠ করেব, তার আমলনামায় ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়ার লেখা হবে এবং ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। দুরূদ শরীফটি হল এই-
আল্লাহুমাম
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ,আলা মুহাম্মাদি নিন্ নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া ,আলা আলিহী ওয়া সাল্লি তাছলীমা.
(এই দুরুদ শরীফের সহীহ উচ্চারন আলেমগনের কাছ থেকে জেনে নেওয়া জরুরী)
Comments 3