রোযা স্মরণ থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নিচের কাজগুলো করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায় এবং কাযা ও কাফ্ফারা উভয়টি ওয়াজিব হয়-
কোন কিছু খেলে।
কোনো কিছু পান করলে। এমন কি ধুমপান করলেও।
স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে।
গুহ্যদ্বারে যৌন চাহিদা পূরণ করা। (না’উযুবিল্লাহ)
নিচের কাজগুলো পাওয়া গেলে রোযা ভঙ্গ হয় এবং কাযা ওয়াজিব হয়; কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না।
ভুলে বা চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে কোনোকিছু খেলে, পান করলে বা স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে।
নস্যি গ্রহণ করলে।
ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে।
অল্প পরিমান বমি আসার পর তা গিলে ফেললে।
কুলি করার সময় পানি গলার ভিতর ঢুকে পড়লে।
দাঁতে আটকে থাকা ছোলাবুটের সমপরিমান বা তার চেয়ে বড় ধরনের ধাদ্যকণা গিলে ফেললে।
মুখে পান বা যে কোনো খাবার রেখে ধুমিয়ে পড়ার পর সুবহে সাদেকের পর জাগ্রত হলে।
ইচ্ছাকৃতভাবে আগরবাতি কিংবা অন্য কোন সুগন্ধদ্রব্যের ধোঁয়া গলাধঃকরণ করলে বা নাকের ভিতর টেনে নিলে।
রাত মনে করে সুবহে সাদিকের পর সাহরি খেলে।
সুর্যাস্তের পূর্বে সূর্য অস্তমিত হয়েছে ভেবে ইফতার করলে।
যেকোনো কারণে রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার পরও দিনের অবশিষ্ট সময় রোযাদারদের মতো (পানাহার ইত্যাদি বর্জন) থাকা ওয়াজিব।
রোযার সময় বর্জনীয় বিষয়
অহেতুক কথা বলা থেকে যন্তের সাথে বিরত থাকবে। কঠিন প্রয়োজন ব্যতীত দুনিয়াবী কথা বলবে না।
সর্বপ্রকার গুনাহ থেকে বিরত থাকা বিশেষত সুদ-ঘুষ আদান-প্রদান, টেলিভিশন-সিনেমা দেখা, কুদৃষ্টি, গীবত, চোগলখোরী, জুয়া, লটারী, বান্দার হক নষ্ট করা ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকা।
সরাসরি বা রেডিও, মোবাইল অথবা অন্য কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে নাচ-গান, বাদ্য-বাজনা ইত্যাদি শোনা ও দেখা থেকে অত্যন্ত মুজাহাদার সঙ্গে পরহেয করবে।
কোন ভাবেই পর্দার হুকুম লঙ্ঘন করবে না।
কাউকে গালি-গালাজ করবে না এবং কোনো প্রকার ঝগড়া-বিবাদে জড়াবে না।
দাড়ি মুণ্ডানো বা এক মুঠের চেয়ে ছোট করা।
উপরোক্ত গুনাহসমূহ থেকে খুবই গুরুত্ব ও যন্তের সাথে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। অন্যথায় রোযার ফায়দা ও পুরস্কার লাভ হবে না।
হাদীসে বর্ণিত আছে, রোযা জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল স্বরুপ, যতোক্ষণ না তা ভেঙ্গে ফেলা হয়। ঢাল ভেঙ্গে ফেলার অর্থ হলো, গুনাহে লিপ্ত হওয়া। (মিশকাত শরীফ)
Comments 0