এমন ভাবে গড় গড়া করা যাতে নাকের নরম অংশের ভিতর পানি পৌছায়। কিন্তু পানি যদি গলা পর্যন্ত পৌছায় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে পরে তা গলধঃকরণ করা।
গীবত,গালা-গালী, ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে এলে একথা বলা “আমি রোজাদার”।
সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ।
অস্থিরতা বা কাতরতা প্রকাশ করা।
কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেষ্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিস্কার করা।
রমজানে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ
সম্পূর্ন রমযান মাসে প্রত্যেক রাতে ঈশার ফরয ও সুন্নাতের পর বিশ রাক’আত করে তারাবী পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
তারাবীহ নামাযের মধ্যে কুরআর শরীফ খতম দেয়া।
যদি বিনা পারিশ্রমিকে তারাবীহের ইমামতী করার মতো হাফেজে কুরআন না পাওয়া যায়, কিংবা তাফেয যদি দাড়ি মুণ্ডায় বা এক মুষ্টির কম রাখে, তা হলে এ ধরনের হাফেযের পিছনে তারাবীহ পড়বে না। কেননা, তারাবীহতে কুরআন গুনানোর ওপর পারিশ্রমিক নেয়া এবং দেয়া উভয়ইটাই হারাম।
তারাবীহর নামাযে কুরআন শরীফ তারতীলের সঙ্গে তিলাওয়াত করা উচিত। খুব দ্রুত তিলোয়াত করলে হরফের মাখরাজ ও সিফাত অনেক সময় আদায় হয় না। ফলে কখনও অর্থ বিকৃতি ঘটতে পারে। তবে ফরয নামাযের চেয়ে একটু দ্রুত পড়ার অনুমতি আছে।
রমযান মাসের দ্বিতীয় খাছ ইবাদত হলো কিয়ামুল লাইল বা রাত্রিতে দণ্ডায়মান থাকা। আর এতে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ উভয় অন্তর্ভুক্ত।
কাজেই সাধারণ দিনগুলোতে রাতে উঠে তাহাজ্জুদের নামায পড়ার সুযোগ হয় না। কিন্তু রমযানুল মুবারকে যেহুতু মানুষ সাহরীর জন্য উঠে থাকে, তাই সামান্য আগে উঠে যাবেন এবং সাহরীর পূর্বে তাহাজ্জুদের নিয়তে কয়েক রাক’আত নামায পড়ে এ নিয়ামত হাসিল করুন।
Comments 0