অনেক সময়েই আমরা ফলের খোসা ফেলে দিই। কিন্তু আপনারা কি জানেন ফলের খোসা সবচেয়ে শক্তিশালী কয়েকটি নিউট্রিয়েন্ট বহন করে? চিকিত্সাবিজ্ঞানে এবং প্রাত্যহিক জীবনে কমলালেবু এবং কলার খোসার উপযোগিতা অনেক। এর পর ফলের খোসা ফেলার আগে একবার ভেবে দেখবেন।
অরগ্যানিক কলার খোসায় যে সামান্য পরিমাণ কীটনাশক থাকে তা সহজেই ধুয়ে ফেলা যায়। এক কাপ পানিতে এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ ভিনিগার দিয়ে কলার খোসাটি ধুয়ে ফেললেই কীটনাশক পরিষ্কার হয়ে যায়।
কলার খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেলস এবং ভিটামিন থাকে। যা বহু রোগ নিরাময় করে এবং নতুন করে কোষগড়ে তুলতে সাহায্য করে।
১. পানি পরিশ্রুত করা- গবেষণায় দেখা গিয়েছে কলার খোসা পানি পরিশ্রুত করতে সাহায্য করে। পানি থেকে সীসা এবং তামা শোষণ করে নেয়।
২. পোকা কামড়ালে ক্ষতের ওপর কলার খোসা ঘষে নিন। আবার ফুসকুড়িতেও কলার খোসা উপযোগী।
৩. দাঁত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও কলার খোসার ভিতরের সাদা অংশ কাজে লাগে। সাদা অংশটি কয়েক মিনিট ধরে দাঁতের মধ্যে ঘষুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঝকঝকে দাঁত দেখতে পাবেন।
৪. আঁচিল বা জড়ুল মিলিয়ে দিতেও কলার খোসা উপযোগী। আবার আঁচিল বা জড়ুলকে ফিরে আসতেও দেয় না। এক সপ্তাহ ধরে রোজ রাতে কলার খোসা আঁচিল বা জড়ুলের ওপর লাগিয়ে রাখুন। আলুর খোসা দিয়েও এই একই উপকার পাওয়া যায়।
৫. আঁচড়েরর দাগে সারিয়ে তুলতেও কলার খোসা কাজে লাগে। কেটে যাওয়া অংশে কলার খোসা ঘষলে তা ঠিক হয়ে যায়। স্প্লিন্টারের ওপরে কলার খোসা লাগিয়ে রাখলে, তা সেরে ওঠে।
৬. অ্যাকনের জ্বালা থেকে মুক্তি দিতেও কলার খোসা সাহায্য করবে। এমনকি ভবিষ্যতে অ্যাকনে ফিরেও আসবে না। প্রতি রাতে কলার খোসা অ্যাকনের ওপর ঘষুন। কয়েক দিনের মধ্যেই উপকার পাবেন।
৭. সোরিয়াসিস- যে অংশে সোরিয়াসিস হয়েছে, সেখানে দিনে এক বা দু'বার কলার খোসা ঘষলে চুলকানো কমে যায়। সোরিয়াসিস সহজে সেরে ওঠে।
৮. র্যা শ- পয়জান আইভি, নরম র্যা শ, খসখসে চামড়া এবং সানবার্নও কলার খোসা সারিয়ে তুলতে পারে। দিনে দু'বার কলার খোসা ঘষুন। কিন্তু অবস্থা খারাপের দিকে এগোলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
৯. অনেকেই জানেন না যে, কলার খোসা মাথাব্যাথা কমাতে সক্ষম। কপালে কলার খোসা বিছিয়ে শুয়ে পড়ুন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই স্বস্তি পাবেন।
১০. রিঙ্কলস- কপাল, গাল এবং মুখে রিঙ্কল দেখা গেলে কলার খোসা লাগান। এর ফলে আপনার ত্বক আরও টাইট হবে এবং রিঙ্কল কমে আসবে।
তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ফলের খোসা বা অব্যবহৃত ফল যেখানে সেখানে ফেলে না-দিয়ে কমপোস্ট করুন। এর ফলে মাটির উত্কর্ষতা বৃদ্ধি পাবে। যা ভবিষ্যতে আরও উত্কৃষ্ট মানের ফল উত্পাদনে কাজে লাগবে।
Comments 0