আদর্শ বীজতলা তৈরী
নির্দিষ্ট মাপমতো একটি বীজতলার চারকোণে চারটি খুটি পুঁতে দড়ি দিয়ে যুক্ত করে রেখা টানুন। ৩ মিটার লম্বা ও ১ মিটার চওড়া করে একটি আয়তকার ক্ষেত্র তৈরী করুন। এবার এর ৪ কোণায় ৪টি খুঁটি পুঁতে চার দিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিন। তারপর কোদাল দিয়ে প্রায় ৬ ইঞ্চি বা ১৫ সেঃ মিঃ গভীর করে মাটি খুড়ে তুলে ফেলুন এবং নিম্নবর্ণিত তিনটি স্তরে বীজতলাকে সাজান।
ক) সর্বনিম্ন স্তরঃ প্রায় ৭.৫ সে:মি: বা ৩ ইঞ্চি পুরাতন সুরকি , ভাংগা ইট, পোড়া মাটি ইত্যাদি।
খ) মধ্য স্তরঃ ৭.৫ সে:মি: বা ৩ ইঞ্চি দোঁ-য়াশ মাটি ও বালুর মিশ্রণ।
গ) উচ্চ স্তরঃ ৭.৫ সে:মি: বা ৩ ইঞ্চি বেলে-দোঁয়াশ মাটি , পঁচা গোবর ও কম্পোষ্ট সারের মিশ্রন।
আদর্শ বীজতলার বিভিন্ন স্তর
উচ্চ স্তরটি সমতল ভুমি হইতে শীতকালে ৭-৮ সে: মি: উঁচু হবে। বীজতলা যাতে অতি বর্ষায় ভেংগে না যায় এ জন্য ছিদ্র যুক্ত ইট বা বাঁশের চটা দিয়ে বীজতলার উপরিভাগের চার ধার বেধে দিতে হবে। বীজতলার মধ্যভাগ দু কিনারা হতে একটু উঁচু হওয়া দরকার। এতে বৃষ্টির পানি বা অতিরিক্ত পানি সহজেই গড়িয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। একই ভাবে বীজতলার তৈরীর পদ্ধতি অনুসরণ করে মাটির টব, ঝুড়ি, চাড়ি, কাঠের বাক্স প্রভৃতিতেও চারা উৎপাদন করা যায়। এ পদ্ধতির সুবিধা হলো অল্প পরিসরে চারা উৎপাদন করা যায় এবং প্রতিকূল অবস্থায় সহজেই চারাকে এক স্থান হতে অন্যত্র স্থানান্তর করা যায়।
Comments 1