ভূ-মধ্যসাগর নিয়ে আমাদের অনেকের অনেক আগ্রহ রয়েছে।আর ছোটবেলায় যখন পাঠ্যবইয়ে পড়তাম তখন তো এর বিশাল জলধারা নিয়ে চিন্তায় মগ্ন থাক্তাম। চলুন এর সৃস্টি রহস্য টা একটু জেনে নিইঃ
ড্যানিয়েল গার্সিয়া ক্রাস্টেলানসের নেতৃত্বে রিসার্চ কাউন্সিল অব স্পেন এর গবেষকরা বলেছেন, পঞ্চাশ বছরের-ও আগে আকস্মিক এক ঢল ও এর মাধ্যমে সৃস্ট বন্যায় ভূ-মধ্যসাগর পুর্ন হয়েছিলো।আতলান্তিক মহাসাগরের পজানি জিব্রাল্টার প্রনালির ফাটলের মধ্য দিয়ে ভূ-মধ্যসাগরে আছড়ে পড়ে।ক্রমশ সেই ফাটল ধসে আতলান্তিক থেকে আসা বিপুল পরিমান পানিতে দুই বছরেই পুরন হয়ে যায় ভূ-মধ্যসাগর। গবেষক দল পাহাড়ি ঝর্নার বিভিন্ন মডেল থেকে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন।
পাহাড়ি লেক গুলো থেকে যেভাবে নদীর মাধ্যমে পানির প্রবাহ ঘটে সেভাবেই ভূ-মধ্যসাগরে বন্ন্যার সৃস্টি।২০০কিলোমিটার চ্যানেলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পানির পরিমান নির্নয় করে এ রহস্যের সমাধান করা হয়েছে।
জিব্রাল্টার প্রনালির সাগরতলে গাটলের পরিমান আর বিভিন্ন সিস্মিক উপাত্ত গবেষনা করে বিজ্ঞানিরা অনুমান করছেন, জিব্রাল্টার প্রনালি ছিল অনেকটা বদ্ধ দরজার মত।সেখানে পানির প্রচন্ড চাপ ক্রমশ একটি চ্যানেল তৈরি করে। সেই চ্যানেল বড় হয়ে গিয়ে এক পর্যায়ে আকস্মিক বন্যার সৃস্টি করে।বিভিন্ন কম্পিউটার মডেল তৈরি করে তারা বন্যার স্থায়িত্ব ও নির্নয় করেন।
দুই মাস থেকে দুইবছরের মধ্যে ভূমধ্যসাগরের শতকরা ৯০ভাগ পানিতে ভর্তি হয়ে যায়।আগে অনুমান করা হত এ সময়টা ১০ হাজার বছর।এ আকস্মিক বন্যায় পাহাড় সমান উচ্চতা নিয়ে পানি ভূমধ্যসাগরে আছড়ে পড়ে আর প্রতিদিন ১০ মিটার করে উচ্চতা বাড়তে থাকে।
বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে তো আমরা অনিশ্চিত নাকি নিশ্চিত ভবিষৎ’’-এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি তাই ঠিক করে বলা মুশকিল হয়ে পড়েছে !।তবুও আমরাই পারি কিছু করতে,আমাদের পরিবেশ কে, আমাদের দেশ কে,তথা গোটা পৃথিবিটাকে বদলাতে……………।<br clear='both'/>
Comments 0