আন্তর্জঅতিক আদালত হচ্ছে জাতিসংঘের বিচারালয়। পনেরো জন বিচারক নিয়ে এ আদালত গঠিত। নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে এটি অবস্থিত। জাতিসংঘের যেকোনে সদস্য রাষ্ট্র যেকোনো  আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে  বিচার প্রার্থনা করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটির পুরো নাম- দি ওয়াল্র্ড হেলথ অর্গানাইজেশন। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনস্বাস্থ্য রক্ষার একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল এটি গঠিত হয়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। বিশ্বের সকল অংশের মানুয়ের জন্য সবেৃাচ্ছ স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করাই সংস্থাটির লক্ষ্য।

জাতিসংঘের একটি নিজস্ব পতাকা রয়েছে। এর রং হালকা নীল। মাঝখানে সাদার ভিতরে বিশ্বের বৃত্তকার মানচিত্র। এর দুপাশে দুটি জলপাই পাতার ঝাড়। জলপাই পাতা শান্তির প্রতীক।

মুসলিম ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, অন্যান্য দেশের সাথে মুসলিম দেশের সম্পর্কোন্নয়ন, মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সমস্যা নির্ণয় ও সমাধানের উদ্দেশ্যে মুসলমানদের জন্য সংকটময় এক পরিস্থিতিতে ১৯৬৯ সালে  ওআইসি গঠিত হয়েছে। এর অন্যতম লক্ষ্য সদস্য দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা, দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

১৯১৪ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। উক্ত যুদ্ধে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়। বহু নগর ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে মানবতার চরম বিপর্যয় ঘটে ও বিশ্বে উন্নয়নের গতি থমকে দাঁড়ায়। বিশ্বে যুদ্ধের ভয়াবহ নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের ব্যাপকতা দেখে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষা ইত্যাদি নানা কারণে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সমাধান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।