1. Question:৭.ক. র‌্যাকিস কাকে বলে? খ. আম গাছের পাতাকে আর্দশ পাতা বলা হয় কেন? গ. ‘ক’ অংশটির গঠন ও কাজ লেখ। ঘ. খ-অংশটির বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পাতার শ্রেণীকরণ আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. অনুফলক বা পত্রলকগুলো যে দন্ডে সাজানো থাকে তাকে র‌্যাকিস বলে।
    
     খ. যে পাতায় পত্রমূল বৃন্ত ওপত্রফলক থাকে তাকে আর্দশ পাতা বলে। আমের 
    
        পাতায় উপরিউক্ত তিনটি অংশই বিদ্যমান। তাই তামের পাতাকে আর্দশ পাতা 
    
        বলা হয়। 
    
     গ. উদ্দীপকের ক চিহিৃত অংশটি হলো বৃন্ত বা বোটা। নিচে বৃন্ত বা বোটার গঠন কাজ 
    
         উল্লেখ করা হলো।
    
         বৃন্ত বা বোটা: পাতার দন্ডাকার অংশটিই হলো বৃন্ত বা বোটা। বৃন্ত পত্রমূল এবং 
    
         পত্রফলককে যুক্ত করে। অনেক উদ্ভিদের বৃন্ত খুব লম্বা হয়। যেমন- শাপলা, পদ্মা।
    
          আবার শিয়াল কাটার পাতায় কোনো বোটাই থাকে না।
    
         বৃন্ত বা বোটার কাজ:
    
          i. পত্রফলককে এমনভাবে ধরে রাখে যাতে বেশি সৃর্যের আলো পায়।
    
          ii. কান্ড ও ফলকের মধ্যে পানি ও খনিজ লবণ আদান-প্রদান করা।
    
          iii. পাতায় প্রস্তুতকৃত খাদ্যে আদান-প্রদান করা।
    
     ঘ. উদ্দীপকের খ অংশটি হলো পত্রফলক। পত্রফলকের বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে পত্রকে 
    
         প্রধাণত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ১. সরল পত্র ও ২ যেীগিক পত্র
    
         সরল পত্র: পত্রবৃন্তের উপরে একটি মাত্র ফলক থাকলে তাকে সরল পত্র বলে।
    
         আম, জাম, বট প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতা সরল পত্র।
    
         যেীগিক পত্র: যে পত্রের ফলকটি সম্পৃর্ণভাবে খন্ডিত হয় খন্ডিত অংশগুলো পরস্পর 
    
         হতে আলাদাভাবে অণুফলক সৃষ্টি করে তাকে যেীগিক পত্র বলে। যেমন- গোলাপ, নিম
    
         ইত্যাদি উদ্ভিদের যেীগিক পত্র।






    1. Report
  2. Question:সোহান ও বিপ্লব স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তা দিয়ে হেটে আসার সময় সোহান ছোট তেতুল গাছের একটি ডাল ভাঙ্গল। এটা দেখে বিপ্লব বলল আমাদের উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। ক. পাতা কত প্রকার? খ. পত্রমূল বলতে কী বোঝায়? গ. সোহানের ভাঙ্গা গাছের পত্র যেীগিক পত্র-ব্যাখ্যা কর। ঘ. সোহানের উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. পত্রফলকের বৈশিষ্টের ভিত্তিতে পাতা প্রধাণত ২ প্রকার।
    
     খ. পাতার যে অংশ কান্ড বা শাখা-প্রশাখার গায়ে যুক্ত থাকে তাকে পত্রমূল বলে।
    
         কোনো উদ্ভিদের পত্রমূল স্ফীত হয়। আবার কোনো কোনো উদ্ভিদের পত্রমূল 
    
         কান্ডকে আংশিকভাবে বেষ্টন করে রাখে। এছাড়া কোনো কোনো উদ্ভিদের পত্রমূলের
    
         পাশ হতে পাতার ন্যায় অংশ বা উপপত্র বের হয়।
    
     গ. উদ্দীপকে সোহান ছোট একটি তেতুল গাছের ডাল ভাঙ্গে। তেতুল গাছের পাতা পর্যবেক্ষণ 
    
        করলে কতকগুলো বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। যেমন-
    
        i. পাতায় অনেকগুলো ফলক রয়েছে।
    
        ii. পাতার ফলকগুলো সম্পৃর্নভাবে পৃথক।
    
        iii. পাতায় মধ্যশিরার পরিবর্তে অক্ষ বিদ্যমান।
    
        iv. পাতার কক্ষে মূকুল অনুপস্থিত।
    
        উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যসমৃহ যেীগিক পত্রে দেখা যায়। তাই বলা যায় সোহানের ভাঙ্গা
    
         গাছের পাতা যেীগিক।
    
     ঘ. উদ্দীপকে বিপ্লব উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি যত্নশীল হওয়ার কথা বলেছে। আমাদের 
    
         চারপাশের পরিবেশে বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। সু্স্থ ও সুন্দরভাবে বেচে 
    
         থাকার জন্য এসব উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। কারণ আমরা গাছ থেকে 
    
         বেচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন খাদ্য জ্বালানি বাসস্থান নিমার্ণের সামগ্রী ঔষধ
    
        প্রভৃতি পেয়ে থাকি। এটি পৃথিবীর জলবায়ু সংরক্ষনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। এছাড়া
    
        গাছ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন-বন্যা, খরা, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছাস প্রভৃতি হতে রক্ষা
    
        করে। আবার বিভিন্ন ধরণের গৃহপালিত পশু পাখি যেমন-হাস, মুরগি, গুরু ছাগল প্রভুতি
     
        হতে রক্ষা করে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, পৃথিবীকে সুন্দর বাসযোগ্য 
    
        রাখতে এবং নিজেদের বেচে থাকার প্রয়োজনে উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি যত্নশীল হওয়া
    
        একান্ত আবশ্যক।






    1. Report
  3. Question:৯. সিরাজ সাহেব ধোকড়াকূল উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি স্কুলের বাগান থেকে ঝালযুক্ত মসলাজাতীয় একটি উদ্ভিদ এনে এর বিভিন্ন অংশ শিক্ষার্থীদের দেখাণেন এবং বললেন উদ্ভিদটি সর্বেোন্নত উদ্ভিদ। ক. সপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে? খ. বিটপ কী ? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের উদ্ভিদটির চিত্র একে এর বিটপের অংশগুলো চিহিৃত কর। ঘ. উদ্দীপকের উদ্ভিদটি একটি সর্ব্বোন্নত উদ্ভিদ-মতামত দাও। 

    Answer
    ক. যেসব উদ্ভিদের ফুল ফল বীজ হয় তাদেরকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে।
    
     খ. উদ্ভিদের যে অংশগুলো মাটির উপরে থাকে তাদের একত্রে বিটপ বলে।
    
        মাটির উপরে উদ্ভিদের কান্ড পাতা ফুল ও ফল এবং বীজ থাকে। সুতরাং কান্ড
    
        পাতা ফুল ও ফলকে একত্রে বিটপ বলা হয়।






    1. Report
  4. Question:১০. প্লাবন ও আতিক একটি গাছের ফল নিয়ে আলাপ করছিল। এই ফলটি সৃষ্টির আগে ফুল হয় এবং বীজ আবৃত থাকে। ফলটিকে ফলের রাজা বলা হয়। ক. আবৃতবীজি সপুষ্পক উদ্ভিদকে আর্দশ উদ্ভিদ বলে কেন? খ. মূলের ২টি বৈশিষ্ট্য লিখ। গ. উক্ত উদ্ভিদটির চিত্র একে বিভিন্ন অংশ চিহিৃত কর। ঘ. উক্ত উদ্ভিদটিকে কী সর্ব্বোন্নত উদ্ভিদ বলা যায়। তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। 

    Answer
    ক. আবৃতবীজি সপুষ্পক উদ্ভিদগুলোই সর্ব্বোন্নত উদ্ভিদ। তাই এদেরকে আর্দশ
    
        উদ্ভিদ বলে।
    
     খ. মূলের দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো-
    
        i. মূল সাধারণ নিম্নগামী।
    
        ii. মূলে পাতা, ফুল বা ফল হয় না।






    1. Report
  5. Question:ক. সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে? খ. সালোকসংশ্লেষণ প্রধাণত উদ্ভিদের পাতায় সংঘঠিত হয় কেন? গ. p বেলজারে মোমবাতিটি জ্বলে থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর। ঘ. চিত্রে প্রদর্শিত অবস্থায় বেলজারের গাছটি বেচে থাকবে কী? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। 

    Answer
    ক. যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সর্যের আলো ও ক্লোরোফিলের 
    
       উপস্থিতিতে পানি ও কার্বন ড্রাই-অক্সাইডের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে 
    
       শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।
    
     খ. সালোকসংশ্লেষণ উদ্ভিদের পাতায় সংঘটিত হওয়ার কারণ-
    
        i. পাতা চ্যাপ্টা প্রসারিত হওয়ায় অধিক সৃর্যালোক পায়।
    
        ii. পাতা চ্যাপ্টা ও প্রসারিত হওয়ায় অল্প সময়ে অধিক পরিমানে
    
            কার্বন ড্রাই-অক্সাইড গ্যাস শোষিত হয়।
    
        iii. পাতার কোষগুলোতে ক্লোরোপ্লাস্টের সংখ্যা অনেক বেশি।
    
        iv.  পাতায় অসংখ্য পত্ররন্ধ্র থাকায় সালোকসংশ্লেষণের সময় গ্যাসীয় 
    
            আদান প্রদান সহজে ঘটে।
    
        এভাবে পাতায় র্সযালোক কার্বন ড্রাই-অক্সাইড ক্লোরোপ্লাস্ট এবং গ্যাসীয় আদান 
    
        প্রদানের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় সালোসংশ্লেষণ মূল উদ্ভিদের পাতায় সংঘটিত
    
        হয়।
    
     গ. p বেলজারটি স্বচ্ছ কাচের হওয়ায় সহজেই এর ভেতর আলো প্রবেশ করতে পারে। টবের 
    
         মাটিতে রয়েছে পানি এবং বেলজারের ভেতরে রয়েছে কার্বন ড্রাই-অক্সাইড। সুতরাং 
    
         সবুজ উদ্ভিদটি বেলজারের ভেতর আলো ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে পানি ও কার্বন 
    
         ড্রাই-অক্সাইড রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরির পাশাপাশি
    
         অক্সিজেন নির্গত করতে পারে। এই অক্সিজেন নিজে জ্বলে না কিন্তু অন্যকে জ্বলতে 
    
         সাহা্য্য হরে। তাই বলা হয় যে, সালোকসংশ্লেষণ মাধ্যমে তৈরি অক্সিজেনের কারণেই
     
    
     ঘ. চিত্রে প্রদর্শিত অবস্থায় Q বেলজারের গাছটি বেচে থাকবে না। যুক্তি আমরা জানি, 
    
         সালোকসংশ্লেষণ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। সালোকসংশ্লেষণের সময় বায়ুমন্ডলের 
    
         কার্বন ড্রাই-অক্সাইড প্রত্ররন্ধের  ভেতর দিয়ে পাতায় প্রবেশ করার পর সৃর্যালোকের 
    
         উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিক্রিয়া ঘটে ও 
    
         শর্করা উৎপন্ন করে এবং উপজাত হিসেবে অক্সিজেন নির্গত করে। Q চিহিৃত চিত্রে 
    
         বেলজারের ভেতরে উদ্ভিদটি আটকে থাকায় পরিবেশের সাথে খাদ্য  তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় 
    
         উপাদান কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু উদ্ভিদে তৈরির জন্য কার্বন 
    
         ডাই-অক্সাইড অপরিহার্য । তাই কার্বন ডাই-অক্সাইডের অভাবে খাদ্য তৈর প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
    
         এভাবে খাদ্যের অভাবে উদ্ভিদের শক্তি উৎপন্ন না হলে কিছুদিনেই Q 
    
         চিহিৃত বেলজারের উদ্ভিদটি নেতিয়ে পড়বে এবং এক সময় মারা যাবে।






    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd