1. Question:৬.ক. অপুস্পক উদ্ভিদ কিসের মাধ্যমে প্রজনন সম্পন্ন করে। খ. আবৃতবীজি উদ্ভিদ ফলের ভেতর বীজ আবৃত আবস্থায় থাকে কেন। গ. A ও B এর মধ্যে পাথক্য উল্লেখ কর। ঘ. A উদ্ভিদটি খাদ্য তৈরি করতে পারে কিন্তু B পারে না কথাটি যথার্থতা মূল্যায়ন কর। 

    Answer
    ক. অপুস্পক উদ্ভিদ স্পোর বা রেণুর মাধ্যমে প্রজনন সম্পন্ন করে।
    
     খ. আবৃতবীজি উদ্ভিদের ফুলে ডিম্বাশয় থাকে। ডিম্বকগুলো ডিম্বাশয়ের ভেতরে থাকে।
    
         নিষকের পর ডিম্বক বীজে এবং ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। এ কারণে আবৃতবীজী
    
         উদ্ভিদের ফলের ভেতর বীজগুলো আবৃত অবস্থায় থাকে।
    
     গ. চিত্রের A হলো শৈবাল এবং B হলো ছত্রাক। নিচে এদের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করা হলো-
    
        ১. দেহে ক্লোরোফিল থাকায় এরা সবুজ।    ১. দেহে ক্লোরোফিল না থাকায় এরা বর্ণহীন।
    
        ২. ক্লোরোফিল থাকায় নিজেদের খাদ্য       ২. ক্লোরোফিল না থাকায় নিজেদের খাদ্য
    
           নিজেরা তৈরি করতে পারে।                  নিজেরা তৈরি করতে পারে না।
    
        ৩. এদের বাসস্থান সাধারণত পানি।         ৩.  এরা সাধারণত পানিতে বাস করে না।
    
        ৪. এরা আলো ছাড়া বাচতে পারে না।       ৪. এরা আলো ও অন্ধকার উভয় পরিবেশে 
    
                                                         বাচতে পারে ।
    
        ৫. এদের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ              ৫. এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে তৈরি।
    
           দিয়ে তৈরি।
    
      ঘ. উদ্দিপকের A ও B উদ্ভিদ হওয়া সত্বেও উভয়েই খাদ্য তৈরি করতে পারে না। আমরা জানি 
    
         কেবলমাত্র সবুজ উদ্ভিদই ক্লোরোফিল ও আলোর উপস্থিতিতে কার্বন ডাইক্সাইড ও পানির 
    
         সহায়তায় সালোকসংশ্লেষণের মা্যেমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করতে পারে। চিত্রের A
    
         উদ্ভিদটি হলো সবুজ শৈবাল। এর দেহে ক্লোরোফিল রয়েছে। সুতরাং A উদ্ভিদটি আলোর 
    
         উপস্থিতিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানির সহায়তায় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য 
    
         তৈরি করতে পারে। কিন্তু B উদ্ভিদটি হলো ছত্রাক। এর দেহে কোনো ক্লোরোফিল নেই।
    
         ক্লোরোফিল না থাকার কারণে এ উদ্ভিদটি সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করতে 
    
         পারে না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, A উদ্ভিদটি খাদ্য তৈরি করতে পারলেও B উদ্ভিদটি 
    
         পারে না।






    1. Report
  2. Question:৭. তমা শিক্ষকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে মস, ফার্ন শৈবাল ছত্রাক পভৃতি ক্ষুদ্র উদ্ভিদ দেখে সে অবাক হলো এবং দেখল এদের কোনোটাইর ফুল, ফল নেই। সে স্যারকে জিজ্ঞাসা করল এ সকল উদ্ভিদ কিভাবে বংশবৃদ্ধি করে। স্যার বলল স্পোর বা রেণু উৎপাদনের মাধ্যমে। ক. ফল কাকে বলে? খ. আদি উদ্ভিদের ২টি বৈশিষ্ট লিখ। গ. তমার দেখা উদ্ভিদগুলো কোনটি কোন জগতে ব্যাখ্যা কর। ঘ. তমার স্যার বংশবৃদ্ধির যে পদ্ধতির কথা বলেছে তা কতটুকু যথার্থ তা ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. নিষিক্ত ও পরিপক্ক গর্ভাশয়কে ফল বলে।
    
     খ. আদি উদ্ভিদের ২ টি বৈশিষ্ট হলো :
    
      এদের খালি চোখে দেখা যায় না।
    
      এরা এককোষী বা অকোষীয়।
    
     গ. উদ্ভিদ শ্রেণীবিন্যাসে সমগ্র পৃথিবীর উদ্ভিদকে ৪টি রাজ্যে, স্থান দেওয়া হয়েছে। 
    
         রাজ্য ৪টি হলো মনেরা, প্রোটিস্টা, ফানজাই, প্লান্টি। তমার দেখা উদ্ভিদগুলো হচ্ছে মস,
    
         ফার্ন, শৈবাল, ছত্রাক। প্লান্টি জগতের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট হলো এরা স্বভোজী, এদের 
    
         কোনটির পরিবহন টিস্যু আছে ও এদের দেহে সালোকসংশ্লেষণকারী বর্ণ কণিকা আছে।
    
         প্লান্টি জগতের বৈশিষ্ট থেকে দেখা যায় যে, তমার দেখা উদ্ভিদগুলোর মধ্যে মস ফার্ন 
    
         প্লান্টি জগতের মধ্যে পড়ে।
    
    ঘ. তমার দেখা উদ্ভিদগুলো হলো মস, ফান, শৈবাল, ছত্রাক। এরা সকলেই অপুস্পক উদ্ভিদ। 
    
        অপুষ্পক উদ্ভিদের যেহেতু ফুল হয় না। তাই এসব অপুষ্পক উদ্ভিদেরা তাদের দেহে স্পোর 
    
        উৎপন্ন করে। এসব স্পোর অনুকূল পরিবেশে মাটিতে পড়ে অঙ্ককুরিত হয়ে নতুন একটি 
    
        উদ্ভিদ সুষ্টি করে। যেহেতু তমার দেখা উদ্ভিদগুলো স্পোরোফাইট ও গ্যামোটোফাইট যুক্ত
    
        উদ্ভিদ। তাই এরা স্পোর উৎপাদনের মাধ্যমেইকেবল বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। অন্য কোনো
    
        পদ্ধতিতে এদের বংশ বৃদ্ধি অসম্ভব। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে,
    
        তমার স্যারের উক্তিটি যথার্থ ছিল।






    1. Report
  3. Question:৮. ক. রাইবোজোম কোন রাজ্যের জীব? খ. c চিত্রের প্রাণীটি যে শ্রেণীভুক্ত তার প্রধান ৪টি বৈশিষ্ট উল্লেখ কর। গ. A ও B এর প্রধান ৩টি পার্থক্য উল্লেখ কর। ঘ. প্রাণী জগতে A প্রাণীটির শ্রেষ্টত্ব বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. রাইবোজোম মনেরা রাজ্যের জীব।
    
     খ. C চিত্রের প্রাণীটি মৎস শ্রেণীভুক্ত। এই শ্রেণীর ৪টি বৈশিষ্ট হলো-
    
        i. এ শ্রেণীভুক্ত প্রাণীরা পানিতে বাস করে।
    
        ii. এদের অধিকাংশ প্রাণীর দেহ আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে।
    
        iii. এরা ফলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
    
        iv. এদের পাখনা আছে, পাখনার সাহায্যে এরা সাঁতার কাটে।
    
    
     গ. চিত্র হলো মানুষ এবং হলো কেচো। নিচে প্রাণী দুটির প্রধান ৩টি পার্থক্য উল্লেখ করা হলো-
    
        i. এটি মেরুদন্ডী প্রাণী।         i.  এটি অমেরুদন্ডী প্রাণী।
    
        ii. দেহের ভিতর কঙ্কাল আছে।  ii. দেহের ভেতর কঙ্কাল নেই।
    
    
    ঘ. প্রাণী জগতে প্রাণীটির অর্থাৎ মানষের শ্রেষ্টত্ব নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-র্
    
       পৃথিবীতে মানষের চেয়ে অনেক বড় বড় প্রাণী রয়েছে। যেমন-হাতি ঘোড়া, গরু ইত্যাদি।
    
       বুদ্ধি বলে মানুষ এসব প্রাণীদেরকে নিজের কল্যাণে ব্যবহার করছে। প্রাণী জগতে মানুষের 
    
       শ্রেষ্টত্বের মূলে আরো যেসব কারণ রয়েছে সেগুলো হলো-
    
       i. মানুষ তার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে।
    
       ii. শত্রুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
    
       iii. সর্বোপরি মেরুদন্ড থাকার কারণে শ্রেষ্ট প্রাণী হিসেবে নিজেদেরকে মাথা উচু করে 
    
           দাড় করাতে হবে।






    1. Report
  4. Question:রুই, কাতলা, ইলিশ, ব্যাঙ, বোয়াল, শিং, মাগুর, সাপ, টিকটিকি, কুমির, কাক, কোকিল, ময়না, টিয়া, ছাগল, ঘোড়া, ঈগল প্রভুতি হচ্ছে আমাদের নিকট পরিবেশের মেরুদন্ডী প্রাণী। এদের দেহে মেরুদন্ড বিদ্যমান। ক. মেরুদন্ড কী? খ. পক্ষীকূল শ্রেণীভুক্ত প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট লেখ। গ. উপরিউক্ত প্রাণীগুলোর মধ্যে কোনটি কোন শ্রেণীভুক্ত তা শনাক্ত করে লেখ। ঘ. উক্ত প্রাণীগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন শেণীতে বিভক্ত করার কারণ বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. প্রাণীর ঘাড় থেকে শুরু করে কোষের শেষ পর্যন্ত পিঠের মাঝখানে বরাবর 
    
         শক্ত লম্বা হাড়ের দন্ডকে মেরুদন্ড বলে। 
    
     খ. পক্ষীকূল শ্রেণীভুক্ত প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট হলো-
    
         i. এদের দেহ প্রাণী দ্বারা আবৃত থাকে।
    
         ii. এরা ডিম পারে এবং ডিম থেকে বাচ্চা হয়।
    
     গ. উদ্দিপকের প্রাণীগুলোর নাম উল্লেখপূর্বক তাদের শ্রেণীকরণ নিচে ছকের মধ্যে 
    
         উল্লেখ করা হলো-
    
         প্রাণীর নাম:                 শ্রেণী:                 শনাক্তকরণ
    
    
        ১. রুই, কাতলা, ইলিশ,       মৎস                 এরা পানিতে বাস করে
    
          বোয়াল, শিং মাগুর।         শ্রেণীভুক্ত             এবং বেশির ভাগের গায়ে
    
                                                              আঁইশ থাকে।
    
    
    
       ২. ব্যাঙ                       উভচর                 এরা জীবনের কিছু সময়
    
                                      শ্রেণীভুক্ত               ডাঙ্গায় এবং কিছু সময় 
    
                                                              পানিতে বাস করে।
    
      ৩. সাপ, টিকটিকি,              সরীসৃপ               এরা বুকে ভর দিয়ে
    
         কুমির                         শ্রেণীভুক্ত              চলে।
    
      
      ৪. কাক, কোকিল,              পক্ষী                  এদের দেহে পালক
    
          ময়না, টিয়া,               শ্রেণীভুক্ত                দ্বারা আবৃত থাকে।
    
     
    
      ৫. ছাগল, ঘোড়া              স্তন্যপায়ী                এদের দেহে লোম থাকে
    
                                     শ্রেণীভুক্ত                এবং মায়েরা বাচ্চা প্রসব
    
                                                               করে। বাচ্চারা মায়ের দুধ
    
                                                               পান করে।
    
    
     ঘ. উদ্দীপক উল্লিখিত প্রাণীগুলোকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত।
    
         কারণ এদের প্রত্যেকের সম্বন্ধে পৃথকভাবে কারও একার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে 
    
         উল্লিখিত প্রাণীগুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা প্রত্যেকই প্রয়োজন। এজন্য প্রাণীগুলোর 
    
         পারস্পরিক সম্পর্ক এবং চারিত্রিক বৈশিষ্টের মিল ও অমিলের ভিত্তিতে বিজ্ঞানসম্মত
    
         উপায়ে প্রাণীগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। এতে খুব কম সময়ে ও সহজেই
    
         প্রাণীগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।






    1. Report
  5. Question:১০. বিজ্ঞানের ক্লাসে স্যার সুমনকে বলল পৃথিবীতে অনেক জীব আছে। যাদের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট মিল রয়েছে। পাখি, মানুষ, গাছ, ফড়িং, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি জীব। এদের মধ্যে কেউ স্বভোজী, কেউ পরভোজী কেউ চলতে পারে কেউ চলতে পারে না। ক. জীব কাকে বলে ? খ. জীবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের চলনজীব ও স্থিরজীবের পার্থক্য লেখ। ঘ. বিজ্ঞানের স্যার যেসব পরভোজী জীবের কথা বলেছেন তাদের পরভোজীর কারণ ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. যাদের জীবন আছে তাদেরকে জীব বলে।
    
     খ. জীবের জীবন আছে। জীবন থাকার জন্যই জীব বংশ বৃদ্ধি করতে পারে।
    
        জীবন না জীবের দেহে শ্বসন, প্রজনন, রেচন, বৃদ্ধি প্রভৃতি ঘটত না। তাই বলা 
    
        যায়, জীবন জীবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট






    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd