1. Question:মিতুল ৬ষ্ট শ্রেণীর একজন ছাত্র । সে বিজ্ঞান বই পড়ে বর্গক্ষেত্র ব্যবহার করে পাতার ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের পদ্ধতি জানতে পারে । সে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ৩০ সে.মি বাহুবিশিষ্ট একটি বর্গের সাহায্যে একটি পাতার ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের চেষ্টা করে । ক. এক কুইন্টাল সমান কত কিলোগ্রাম ? খ. সে.মি কে কেন মেীলিক একক বলা ? গ. বর্গটির ক্ষেত্রফল বর্গমিটার এককে নির্ণয় কর । ঘ. মিতুল কিভাবে পাতার ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে সক্ষম হবে ? বিশ্লেষণ কর । 

    Answer
    ক. ১ কুইন্টাল সমান ১০০ কিলোগ্রাম ।
    
    খ. সে.মি এককের সাহায্যে কোনো এককের প্রয়োজন হয় না । অর্থাৎ সেমি. একটি দৈঘ্য নির্ণয়ের একক হিসেবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ।
    
     সুতরাং মেীলিক এককের সংজ্ঞানুযায়ী সে.মি একটি মেীলিক একক ।
    
    গ. বর্গটির ক্ষেত্রফল = দৈঘ্য` xx`  প্রস্থ
    
      = দৈঘ্য `xx` দৈঘ্য ; [বর্গের ক্ষেত্রে দৈঘ্য = প্রস্থ]
    
    `= ((৩০)/(১০০) xx (৩০)/(১০০))` বর্গ মি. [:. ১ সে. মি `= ১/(১০০)` মি.]
    
     = ০.০৯ বর্গ মি.
    
    ঘ. মিতুল নিমোক্তভাবে পাতার ক্ষেত্রফল নির্ণয় করবে-----
    
      প্রথমে পাতাটিকে একটি সাদা কাগজের উপর রেখে চারপাশ দিয়ে পেন্সিল দিয়ে দাগান্তিত করবে যা পাতাটির ক্ষেত্র নির্দেশ করে । 
    
     এবার পাতারক্ষেত্রটিকে মাঝখানে রেখে তার চারপাশে একটি বর্গ অংকন করবে । 
    
     এবার বর্গটিকে প্রথমে দৈঘ্য বরাবর ১ সে.মি পরপর এবং পরে প্রস্থ বরাবর প্রতি ১ 
    
     সে.মি পর রেখা টানবে যাতে ১ বর্গ সে.মি এর অনেকগুলো বর্গের সৃষ্টি হয় । এবার প্রথমে কতগুলো
    
     পূর্ণবর্গ পাতার ক্ষেত্রের মধ্যে আছে তার গনণা করবে এরপর যে বর্গগুলো পুরোপুরি ক্ষেত্রের অন্তভুক্ত হয়নি, 
    
     সেগুলো থেকে অনুমান করবে । এক্ষেত্রে যে বর্গগুলো অর্ধেকের বেশি ক্ষেত্রের মধ্যে অন্তভুক্ত 
    
     সেগুলোকে  গণনা করবে । অন্যদিকে যে বর্গগুলো অর্ধেকের কম ক্ষেত্রের মধ্যে নেই, সেগুলো বাদ দেওয়া হয় । 
    
     এভাবে উপরের চিত্রের পাতার ক্ষেত্রফল নির্ণয় করবে ।






    1. Report
  2. Question:সজিব একজন কাঠ মিস্ত্রি সে একদিন বাক্স তৈরি করার জন্য বাজার থেকে কিছু কাঠ সংগ্রহ করে আনল । অতঃপর সে পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত একটি মিটার স্কেলের সাহায্যে বাক্সটির দৈঘ্য নির্ণয়ে একধরনের ত্রুটি লক্ষ করল । ক. কোনো কিছুর পরিমাপ নির্ণয় করাকে কি বলে ? খ. এককের গণিতক বা ভগ্ন্ংশের প্রয়োজন হয় কেন ? গ. সজিবের তৈরিকৃত বাক্সের দৈঘ্য ১ মিটার প্রস্থ ৭৫ সে. মি হলে বাক্সটির উপরিপৃষ্টের ক্ষেত্রফল কত হবে ? ঘ. সজিবের ব্যবহৃত স্কেল দিয়ে দৈঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে কী ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে তুমি মনে কর ? 

    Answer
    ক. কোনো কিছুর পরিমাপ নির্ণয় করাকে পরিমাপ বলে ।
    
    খ. বৃহত্তর কোনো কিছু পরিমাপ করার জন্য এককের গুণিকৃত প্রয়োজন হয় । যেমন ঢাকা থেকে 
    
    সিলেটের দুরুত্ব মাপার ক্ষেত্রে আমরা কিলোমিটার একক ব্যবহার করি । কিন্তু ক্ষুদ্রতম কোনো 
    
    কিছু পরিমাপ করার জন্য এককের ভগ্নাংশ ব্যবহার করা হয় । যেমন পেন্সিলের দৈঘ্য বা 
    
    পয়সার দুরত্ত মাপতে এককের গুণিতক সে. মি বা মি.মি ব্যবহার করা হয় ।
    
    গ. সজিবের তৈরিকৃত বাক্সটির উপরিপৃষ্ট হবে আয়তকার । বাক্সটির উপরের পৃষ্টের ক্ষেত্রফল নিচে নির্ণয় করা হলো--
    
    বাক্সের দৈঘ্য = ১ মিটার
    
    বাক্সের প্রস্থ = ৭৫ সে.মি 
    
               `= ৭৫/১০০` মিটার
    
                = ০.৭৫ মিটার
    
    বাক্সের উপরিপৃষ্ট ক্ষেত্রফল = দৈঘ্য` xx`  প্রস্থ
    
                               = ১ মিটার` xx ` ০.৭৫ মিটার
    
                               = ০.৭৫  মিটার
    
    সুতরাং বাক্সের উপরিপৃষ্টের ক্ষেত্রফল ০.৭৫ মিটার ।
    
    ঘ.সজিবের ব্যবহৃত স্কেল ‍দিয়ে দৈঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সতর্কতাসমৃহ অবলম্বন 
    
    করা উচিত বলে আমি মনে করি ।
    
    i.  মিটার স্কেল দিয়ে পাঠ নেওয়ার সময় চোখ সঠিক অবস্থানে রাখতে হবে ।
    
    ii. স্কেলের দাগ এবং প্রান্ত বিন্দু দিয়ে একই রেখা বরাবর থাকতে হবে ।
    
    iii. চোখ যাতে স্কেলের সাথে লম্বভাবে থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে ।
    
    iv. যেকোন পাঠের মান একাধিকার নেওয়া উচিত । এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । এজন্য উপরের 
    
        সতর্কতাসমৃহ অবলম্বন করা উচিত ।






    1. Report
  3. Question:ক. তাপমাত্রা পরিমাপের আন্তর্জাতিক পরিমাপের একক কী ? খ. আয়তনের একক যেীগিক একক কেন ? গ. চিত্রের যন্ত্রটিকে ডাক্তারি থার্মোমিটার বলা হয় কেন ? ব্যাখ্যা কর । ঘ. চিত্রের যন্ত্রটিকে অন্যন্য পদার্থের পরিবর্তে পারদ ব্যবহার সুবিধাজনক - আলোচনা কর । 

    Answer
    ক. তাপমাত্রা পরিমাপের আন্তর্জাতিক একক হচ্ছে কেলভিন ।
    
    খ. আমরা জানি আয়তনের একক হলো কোনো ব্স্তুর দৈঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার গুণফল ।
    
     যেহেতু আয়তন একক নির্ণয়ের জন্য তিনটি এককের উপর নির্ভর করতে হয় তাই 
    
     আয়তনের একক একটি যেীগিক একক । 
    
    গ. চিত্রে যন্ত্রটিতে ফ্যারেনহাইট স্কেলে দাগাঙ্কিত থাকে । এই স্কেলে ৯৪ থেকে ১০৮ ড্রিগ্রি ফারেনহাইট পযন্ত দাগাঙ্কিত থাকে । 
    
    এই থার্মোমিটার অত্যন্ত সুবেদী পারদ থার্মোমিটার । মানবদেহের তাপমাত্রা বা জ্বর পরিমাপের জন্য ডাক্তারা এই যন্ত্র 
    
    ব্যবহার করেন বলে একে ডাক্তারী থার্মোমিটার বলা হয় ।






    1. Report
  4. Question:সেজুতি একটি পাথরের টুকরার আয়তন নির্ণয় করবে । এজন্য সে প্রথমে পাথরের টুকরাকে একটি সূতার সাহায্যে ঝুলিয়ে একটি মাপ চোঙের মধ্যে ডুবলো । এরপর মাপচোঙের পানির পাঠ নিল । ক. মেীলিক একক কতটি ? খ. বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর । গ. সেঁজুতি কিভাবে পাথরের আয়তন বের করবে ব্যাখ্যা কর । ঘ. পাথরের আয়তন নির্ণয় করতে যেয়ে সেঁজুতি একটি ভুল করেছে । ভুলটি কিভাবে সংশোধন করা যায় তা বিশ্লেষণ কর । 

    Answer
    ক. মেীলিক একক সাতটি ।
    
    খ. কোনো সমস্যা সমাধানে জন্য বিজ্ঞানীরা যে পদ্ধতি অনুসরণ করেন তাকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কলে ।
    
     এই পদ্ধতিতে সূক্ষ্র গাণিতিক যুক্তি গভীর বিশ্লেষণ নিয়ন্ত্রিত পযবেক্ষণ তত্ত্ব সৃষ্টি ইত্যাদি জটিল কর্মকান্ড সম্পৃক্ত                          
    
     থাকে । বিজ্ঞানীদেরকে এ ধাপগুলো রক্ষা করে কাজ করতে হয় ।
    
    গ. উদ্দীপকের চিত্রিত পদ্ধতি দ্বারা সেঁজুতি পাথরের আয়তন বের করতে পারবে । প্রথমে মাপচোঙে একটি 
    
    নিদিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত পানিপূর্ন করতে হবে । এমনভাবে পানিপূর্ন করতে হবে যাতে পাথরটি সম্পৃর্নভাবে পানিতে 
    
    ডুবতে পারে । এবার পাথরটি ডুবানোর পূর্বে মাপচোঙের পানির উচ্চতা মেপে নিতে হবে । এরপর 
    
    পাথরটি ডুবিয়ে পানির উচ্চতা দুই উচ্চতার পাথক্য হতে পানির পরিবর্তিত আয়তন পাওয়া যাবে । 
    
    এই পরিবর্তিত আয়তনই পাথরের আয়তনের সমান হবে ।
    
    ঘ. পাথরটির আয়তন নির্ণয় করার সময় পাথরটি পানিতে ডোবানোর পূর্বে সেঁজুতি মাপচোঙের পানির 
    
    পাঠ নেয়নি যা একটি  ভুল ছিল । এক্ষেত্রে সেঁজুতি মাপচোঙকে পানি থেকে উঠিয়ে ভালোভাবে কাপড় 
    
    দিয়ে মুছে পানি অপসারণ করবে । অতঃপর মাপচোঙের পানির পাঠ নিবে । পরবর্তীতে পাথরটিকে 
    
    মাপচোঙের পানিতে ডুবিয়ে পুণরায় পাঠ নিবে । দ্বিতীয় পাঠ হতে প্রথম পাঠ বিয়োগ করে সেঁজুতি 
    
    পাথরটির আয়তন নির্ণয় করতে পারবে ।






    1. Report
  5. Question:সুুমির ঘরের পড়ার টৈবিলের ক্ষেত্রফল ৬২৪০ বর্গ সেন্টিমিটার । যার প্রস্থ ৬০ সেন্টিমিটার । তার টেবিলে উপর একটি বই আছে যার দৈঘ্য ২৬ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ২০ সেন্টিমিটার । ক. রাশি কী ? খ. ক্ষেত্রফল ও আয়তনের মধ্যে দুইটি পাথক্য লেখ । গ. সুমির পড়ার টৈবিলের দৈঘ্য কত ? ঘ. সুমি টেবিলে সমআকৃতির আর কতটি বই পাশাপাশি রাখতে পারবে ? গাণিতিক বিশ্লেষণ কর । 

    Answer
    ক. যা পরিমাপ করা যায় তাই রাশি ।
    
    খ. ক্ষেত্রফল ও আয়তনের মধ্যে দুইটি পাথক্য নিচে দেওয়া হল-
    
      i. ক্ষেত্রফল হলো দৈঘ্য ও প্রস্থের গুণফল । অন্যদিকে আয়তন হচ্ছে দৈঘ্য প্রস্থ উচ্চতার গুণফল ।
    
     ii. ক্ষেত্রফলের একক হলো বর্গ একক । অন্যদিকে আয়তনের একক হলো ঘন একক ।
    
    
    গ. দেওয়া আছে, সুমির পড়ার টেবিলের ক্ষেত্রফল ৬২৪০ বর্গসেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৬০ সেন্টিমিটার ।
    
     আমরা জানি, টেবিলের ক্ষেত্রফল = টেবিলের টেবিলের প্রস্থ
    
     :. টেবিলের দৈঘ্য = টেবিলের ক্ষেত্রফল/টেবিলের প্রস্থ
    
     বা, টেবিলের দৈঘ্য `= (৬২৪০)/(৬০)` সেন্টিমিটার 
    
     বা, টেবিলের দৈঘ্য = ১০৪ সেন্টিমিটার 
    
    :. সুমির পড়ার টেবিলের দৈঘ্য ১০৪ সেন্টিমিটার ।
    
    
    ঘ. দেওয়া আছে, সুমির পড়ার টেবিলের ক্ষেত্রফল ৬২৪০ বর্গসেন্টিমিটার । বই এর দৈঘ্য ২৬ সেন্টিমিটার  ও প্রস্থ ২০ সেন্টিমিটার ।
    
    অতএব, একটি বইয়ের ক্ষেত্রফল = দৈঘ্য`xx`  প্রস্থ
    
                                     `= (২৬ xx ২০)` বর্গসেন্টিমিটার 
    
                                     = ৫২০ বর্গসেন্টিমিটার ।
    
     অতএব সমআকৃতির বই রাখা যাবে । `(৬২৪০)/(৫২০)` টি = ১২টি 
    
     যেহেতেু সমআকৃতির বই রাখাে আছে । অতএব সুমির টেবিলে আর (১২ - ১) টি বা ১১ টি বই রাখা যাবে ।






    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd