বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প ইউনিট রয়েছে, এগুলোর প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ ঢাকা মহানগরী ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থিত। ঢাকা ছাড়া অবশিষ্ট ইউনিট গুলোর প্রায় সবই চট্টগ্রাম বন্দর নগরীতে এবং দু-একটি খুলনায় রয়েছে।

বাংলাদেশে জনসংখ্যার চাপ অত্যন্ত বেশি। সব মানুষকে একমাত্র কৃষি সচ্ছলতা দিতে সক্ষম নয়। এ অবস্থার ফলে কারখানায় কাজ করে শ্রমিক কর্মজীবীদের পরিবারের দারিদ্র্য ঘুচানো সম্ভব হচ্ছে। অনেক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে ভালো বেতনে চাকরি করছে। এভাবে কৃষির বাইরেও অসংখ্য মানুষের জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ একমাত্র গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গেই ৩০ লক্ষ্যের অধিক মানুষ জড়িত আছে। এদের বিপুল সংখ্যক নারী রয়েছে যারা নিজেদের দরিদ্রতা ঘোচাতে কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছে। তারা স্বাবলম্বী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছে।

চট্টগ্রাম জেলার কুতুবদিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত উপকূলীয়  এলাকায় প্রচুর খনিজ বালির সন্ধান পাওয়া গেছে। পারমাণবিক খনিজ পদার্থগুলো হলো জিরকন, মোনাজাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, লিউকক্সেন প্রভৃতি। এ খনিজ সংগ্রহের জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
পারমাণবিক খনিজ পদার্থ সাধারণত ভারী ধাতব শিল্পে ব্যবহৃত হয়।

কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে সে-দেশের সার্বিক উন্নয়নকে নির্দেশ করে থাকে। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন মূলক তিন ধরনের কর্মকান্ডের উন্নয়নের সমস্টি। যথা : প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উন্নয়ন, যথা- কৃষিকাজ, মৎস চাষ, পশুশিকার, পশুপালন প্রভৃতির উন্নয়ন সাধন। দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উন্নয়ন, যেমন- কলকারখানা, শিল্পকারখানা প্রভৃতির উন্নয়ন সাধন। তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উন্নয়ন, যেমন- ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, পরিবহণ ও যোগাযোগ প্রভৃতির উন্নয়ন  সাধন।
প্রকৃতপক্ষে, এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পূর্ণরূপে কোনো দেশের দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনসমষ্টির ওপর নির্ভর করে। তাই একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জনসংখ্যার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে জনসম্পদ উন্নয়নের জন্য কতকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এসব্ পদক্ষেপ বা উপায়সমূহ হচ্ছে- শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ, সীমিত জনসংখ্যা, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ, পারিবারিক ও সামাজিক সম্প্রীতি, রাজনৈতিক স্থিতিশলীতা ও সরকাররি পৃষ্ঠপোষকতা।