Question:১.
ক. স্ক্লেরা কী? খ. চোখের G অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী ঘটবে? গ. B অংশের কাজ ব্যাখ্যা কর। ঘ. J অংশ কীভাবে আমাদের দেখতে সাহায্য করে আলোচনা কর।
Answer
ক. অক্ষি গোলকের বাইরের সাদা, শক্ত ও পাতলা স্তরটি হলো স্ক্লেরা।
খ. চোখের G চিহ্নিত অংশটি হলো কর্নিয়া। এ অংশটির ভেতর দিয়েই আলো
চোখের ভেতর প্রবেশ করে এবং কোনো বস্তুকে দেখতে সাহায্য করে। সুতরাং চোখের
কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখে আলো প্রবেশ বাধাগ্রস্থ হবে এবং মানুষ কোনো বস্তুকে ঠিকভাবে
দেখতে পারে না।
গ. চিত্রে চোখের B চিহ্নিত অংশটি আইরিশ, যার অবস্থান কর্নিয়ার পেছনে।
এটি ঘন কালো গোলাকার একটি অস্বচ্ছ পর্দা। এর কেন্দ্রস্থলে একটি ছিদ্র থাকে যাকে
পিউপিল বলে। আইরিশের পেশিসমূহের সংকোচন প্রসারণে পিউলিপ ছোট বড় হতে পারে।
এর ফলে আলোকরশ্মি রেটিনায় প্রবেশ করে। অর্থাৎ আইরিশ চক্ষু লেন্সের উপর আপতিত
আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করে। এটি আইরিশের প্রধান কাজ।
ঘ. চিত্রের J চিহ্নিত অংশটি হলো পিউলিপ। এটি আইরিশের মধ্যখানে অবস্থিত একটি ছোট ছিদ্র।
কোনো বস্তুকে দেখতে চোখের এ অংশটি বিশেষভাবে সাহায্য করে। নিচে এ বিষয়টি
আলোচনা করা হল-
আলোক রশ্মির তীব্রতা অনুযায়ী অরীয় ও বৃত্তাকার পেশির সংকোচন ও প্রসারণের ফলে পিউলিপ
প্রয়োজনমতো বড় ও ছোট হয়। ফলে কোনো দর্শনীয় বস্তু থেকে অাগত
আলোক রশ্মি J চিহ্নিত অংশ অর্থাৎ পিউলিপের ভেতর দিয়ে রেটিনায় পোঁছায়।
রেটিনার উপর বস্তুটির একটি উল্টা প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। পরবর্তীতে মস্তিষ্ক এ উল্টা
প্রতিবিম্বটিকে সোজা করে দেয়। ফলে মানুষ বস্তুটিকে সোজা দেখতে পায়।
এভাবে পিউপিল আমাদের দেখতে সাহায্য করে।
ক. স্ক্লেরা কী?
খ. চোখের G অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী ঘটবে?
গ. B অংশের কাজ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. J অংশ কীভাবে আমাদের দেখতে সাহায্য করে আলোচনা কর।
ক. সংবেদি অঙ্গ কাকে বলে?
খ. A চিহ্নিত অংশ না থাকলে কী ঘটবে ব্যাখ্যা কর।
গ. E চিহ্নিত অংশের কাজ উল্লেখ কর।
ঘ. C ও F চিহ্নিত অংশের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত শ্রবণ ইন্দ্রিয় হলো কান। কানের সমস্যার কারণে আমরা বধির হয়ে যেতে পারি।
এজন্য এ ইন্দ্রিয়ের ব্যাপারে আমাদের যত্নবান হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো--
i. কান নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কানে ময়লা জমলে কাঠি বা অন্যকোনো শক্ত বস্তু দিয়ে কান খোঁচানো যাবে না।
ii. গোসলের সময় কানে যাতে পানি না ঢোকে সেদিকে সতর্ক
থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে কানে তুলা দিয়ে গোসল করতে হবে।
iii. কানে বাইরের কোন বস্তু বা পোকামাকড় ঢুকলে ডাক্তারের পরামর্শ
নিতে হবে।
iv. উচ্চ শব্দের গান বা মিউজিক শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন উচ্চ শব্দ কানের জন্য ক্ষতিকর।
জিহ্বা দিয়ে আমরা খাদ্য বস্তুর টক, ঝাল, মিষ্টি, তিতা স্বাদ গ্রহন করে থাকি। এটা আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয়।
মুখ গহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গটি হলো জিহ্বা। জিহ্বার উপরে একটি আস্তরণ আছে, এতে বিভিন্ন স্বাদ
গ্রহনের জন্য স্বাদ কোরক থাকে। জিহ্বার সামনে, পেছনে, পাশে স্বাদ গ্রহণের জন্য বিশেষ স্বাদ কোরক থাকায়
অামরা জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে মিষ্টি ও নোনতা, পাশের অংশ দিয়ে লবণ ও টক স্বাদ অনুভব করে থাকি।
জিহ্বার মাঝখানে কোনো স্বাদকোরক থাকে না। স্বাদকোরক না থাকায় আমরা জিহ্বার মাঝখানটায় কোনো
বিশেষ স্বাদ পাই না। এছাড়া জিহ্বার একেবারে পেছনের অংশে বড় আকারের কোরকগুলো তিতা বা তিক্ত
স্বাদ অনুভব করতে সহায়তা করে।
ঘ. উদ্দীপকের অঙ্গটি মুখ গহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গ জিহ্বা। এটি আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয়।
খাদ্য পরিপাকের জন্য উক্ত অঙ্গটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এর যত্ন নিতে হলে যা করতে হবে তা হলো-
i. দাঁত ব্রাশ করার সময় নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা।
ii. শিশুদের নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা উচিত। তা না হলে জিহ্বায় ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
iii. অনেক সময় রোগের কারণে জিহ্বার উপর সাদা বা হলদে পর্দা পড়ে। জ্বর হলে সাধারণত এটি হয়।
এই সময় পানিতে লবণ গুলে কুলকুচি করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
iv. শিশুদের জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে জিহ্বার উপর দইয়ের মতো দেখতে ছোট ছোট দাগ দেখা যায়।
এটি এক প্রকার ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হয়।
v. মুখ বা জিহ্বায় ঘা হলে অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এভাবে আমরা জিহ্বার প্রতি যত্নশীল হব।