Question:কার্বন ডাই-অক্সাইড R + আলো/ক্লোরোপ্লাস্ট S + পানি + অক্সিজেন। ক. পৃথিবীতে সকল শক্তির উৎস কী? খ. রাতে সালোকসংশ্লেষণ হয় না কেন্? গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত বিক্রিয়ায় কীভাবে S যেীগটি তৈরি হয়? ব্যাখ্যা কর। ঘ. জীবজগতের উল্লিখিতবিক্রিয়ার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
Answer
ক. পৃথিবীতে সকল শক্তির উৎস হলো সৃর্য।
খ. সালোকসংশ্লেষণের প্রধান উপকরণগুলো হলো: i. কার্বন ডাই-অক্সাইড
ii. পানি iii. আলো iv. ক্লোরোফিল।
এই চারটি উপকরণের কোনো একটির অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদদেহে সালোকসংশ্লেষণ
ঘটে না। রাতের বেলা কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি ও ক্লোরোফিল উপস্থিত থাকলেও
আলো থাকে না। আর আলোর অনুপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ সম্ভব নয়। তাই রাতের
বেলায় সালোকসংশ্লে হয় না।
গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটিতে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন উৎপন্ন হয়েছে এবং
বিক্রিয়াটি আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ঘটেছে সেহেতু এটি সালোকসংশ্লেষণ
বিক্রিয়া। এ বিক্রিয়ায় হলো R পানি এবং S হলো গ্লুকোজ। বিক্রিয়াটি সবুজ উদ্ভিদদেহে
ঘটে থাকে। সালোকসংশ্লেষণের এ বিক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ বায়ুমন্ডল থেকে পত্ররন্ধের
কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং পাতায় পেীছে দেয়। আলো ক্লোরোফিলের উপস্থিতে
এই কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানির মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং শর্করা জাতীয় খাদ্য
গ্লুকোজ S তৈরি হয় +
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি নির্দেশ করে। জীবজগতে সালোকসংশ্লেষণ
প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে এর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হল-
খাদ্য উৎপাদন: জীবজগতের জন্য প্রাথমিক খাদ্য শর্করা একমাত্র সালোকসংশ্লেষণের
মা্যেমে উৎপন্ন হয়। প্রাণী হোক আর উদ্ভিদ হোক জীবের কর্মচাঞ্ঝলের মূলে রয়েছে খাদ্য।
কারণ খাদ্যের সাথে শ্বসণের নিবিড় সম্পর্ক। শ্বসণের ফলে শক্তি নির্গত হয়। তাই
সালোকসংশ্লেষণ উভয়ের জীবনটাই সংকটাপন্ন।
পরিবেশে গ্যাস বিনিময়: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষিত হয় এবং
অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। ফলে এ প্রক্রিয়ায় প্রাণীকূলের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন ডাই-অক্সাইড
শোষিত হয় এবং শোষেণের জন্য অত্যাবশকীয় অক্সিজেন বায়ুমন্ডল সরবরাহ করে পরিবেশকে
দূষণমুক্ত করে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ কথা বলা যায় যে, জীবনের অস্তিত্ব সম্পৃর্ণ নির্ভর
করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার উপর। তাই উক্ত বিক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
এরপর বিকারে আরও পানি ঢালি যাতে ফানেলের নলটা সম্পৃর্ণভাবে পানিতে ডুবে
থাকে। এবার টেস্টটিউবটি পানি দিয়ে পৃর্ণ করে ফানেলের নলের উপর এমনভাবে
উল্টিয়ে দেই যাতে টেস্টটিউবের পানি বের না হয়ে যায়। এরপর এ সবকিছুকে
সৃর্যালোকে রাখি।
পর্যবেক্ষণ: কিছুক্ষন পর দেখাতে পাব হাইড্রিল উদ্ভিদগুলোর কান্ডের প্রাপ্ত দিয়ে
বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হয়ে টেস্টটিউবে জমা হচ্ছে এবং টেস্টটিউব পানি নিচে
নেমে যাচ্ছে। টেস্টটিউবটা প্রায় সম্পৃর্ণটা গ্যাসে পৃর্ণ হলে দিয়াশলাইয়ের একটা সদ্য
নেভানো কাঠিটি দপ করে জ্বলে উঠবে। অর্থাৎ টেস্টটিউবের গ্যাস অক্সিজেন। কারণ
অক্সিজেন নিজে জ্বলেনা কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সম্পৃর্ণ বিক্রিয়াটি নিচে সম্পৃর্ণ করে দেখানো হলো-
কার্বন ডাইঅক্সাইড + পানি সৃর্যালোক/ক্লোরোফিল গ্লুকোজ + অক্সিজেন
এখানে X = পানি এবং Y = গ্লুকোজ
উক্ত বিক্রিয়াটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো-
খাদ্য উৎপাদন: জীবজগতের জন্য প্রাথমিক খাদ্য শর্করা একমাত্র সালোকসংশ্লেষণের
মাধম্যে উৎপন্ন হয়। প্রাণী হোক আর উদ্ভিদ হোক জীবের কর্মচাঞ্ঝললের মূলে আছে খাদ্য।
কারণ খাদ্যের সাথে শ্বসনের নিবিড় সর্ম্পক। শ্বসনের ফলে শক্তি নির্গত হয়। তাই
সালোকসংশ্লেষণ ছাড়া উভয়ের জীবনই সংকটাপন্ন।
পরিবেশে গ্যাস বিনিময়: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষিত হয় এবং
অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। ফলে এ প্রক্রিয়ায় প্রাণীকূলের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন ডাইঅক্সাইড
শোষিত হয় এবং শোষণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অক্সিজেন বায়ুমন্ডল সরবরাহ করে
পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ কথা বলা যায় যে, জবিনের অস্তিত্ব সম্পৃর্ণ নির্ভর করে
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার উপর। তাই উক্ত প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
ক. সালোকসংশ্লেষণ কয়টি পর্যায়ে সম্পৃন্ন হয়।
খ. পাতায় বেশি পত্ররন্ধ থাকলে কোন ধরনের সুবিধা হয়।
গ. উপরের ক চিত্রে পানি ঢালায় প্রক্রিয়াটি বর্ণনা কর।
ঘ. A চিহিৃত উদ্ভিদগুলো থেকে নির্গত বুদবুদ জীবজগতে কী অবদান রয়েছে আলোচনা
কর।