যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও প্রান্ত সরু তাকে উত্তল লেন্স উত্তল লেন্সে আরৈাক রশ্মি উত্তল পৃষ্ঠে আপতিত হয় বলে তাকে উত্তল লেন্স বলে। এই লেন্স সাধারণত এক গুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে থাকে বলে একে অভিসারী লেন্সও বলা হয়।

রেটিনা থেকে যে নার্ভগুলো মস্তিষ্কে গিয়েছে সেগুলোর নাম রড ও কোণ। এদের মধ্যে কোণ কোষগুলো বর্ণ সংবেদনশীল। তিন ধরণের কোণ আছে। নীলবর্ণ সংবেদনশীল কোণ, লাল বর্ণ সংবেদনশীল কোণ এবং সবুজ বর্ণ সংবেদনশীল কোণ। কোনো বর্ণ যতই মিশ্র বা জটিল হোক না কেন চোখ সকল বর্ণকে মাত্র এই তিনটি বর্ণে ধারণ করে। রেটিনার আবার বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল বর্ণকে আলাদা করে দেয়। এভাবেই আমরা রঙিন বস্তুর আলোকীয় উপলব্ধি পাই।

লেন্সের ক্ষমতা -2.5d বলতে আমরা দুটি বিষয় বুঝতে পারি। যথা-
১. লেন্সটি উত্তল না অবতল: অবতল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ঋণাত্মক, সুতরাং এর ক্ষমতাও ঋণাত্মক হবে। সুতরাং লেন্সটি অবতল।
২. লেন্সের ফোকাস দূরত্ব: লেন্সটির ফোকাস দূরত্ব 1/2.5m = (40 cm) কাজেই লেন্সটি প্রধান অক্ষের সমান্তরাল একগুচ্ছ আলোক রশ্মিকে এমনভাবে অপসারী করে যেন মনে হয় এগুলো লেন্স থেকে 1/2.5m = (40 cm)  দূরে কোন বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে।

কোনো আলোকরশ্মি যদি কোনো লেন্রেস পৃষ্ঠে আপতিত হয়ে নির্গত হওয়ার সময় আপতিত রশ্মির সমান্তরালে নির্গত হয় তাহলে সেই রশ্মি লেন্সের প্রধান অক্ষের উপর যে বিন্দু দিয়ে যায় সেই বিন্দুকে লেন্সের আলোক কেন্দ্র বলে।

চোখের আইরিশের মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকে। একে চোখের মণি বা তারারন্ধ্র বলে।