পরমাণুর অভ্যন্তরে নিউক্লিয়াসে মৌলিক কণা (যেমন প্রোটন ও নিউট্রন) এর মধ্যে যে স্বল্প মানের ও স্বল্প মানের ও স্বল্প পাল্লার বল ক্রিযা করে তাকে দূর্বল নিউক্লিয় বল বলে। এ্রই বলের পাল্লা `10^16m` এর কম। অর্থাৎ কণাগুলো এই দূরত্বের বেশি দূরত্বে থাকলে এই বল কার্যকর হয় না। এই বলের কারণে বিটা ক্ষয় ও তেজস্ক্রিয় ভাঙ্গন সংগঠিত হয়।

বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তুর স্থির অবস্থায় এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিকে একই দিকে চলতে চাওয়ার ধর্মকে জড়তা বলে। জড়তা দু’প্রকার স্থিতি জড়তা ও গতি জড়তা।
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা হতে দেখতে পাই, ভারী বস্তুকে স্থির অবস্থা হতে গতিশীল এবং গতিশীল অবস্থা হতে থামাতে হালকা বস্তুর চেয়ে বেশি মানের বল প্রয়োগ করতে হয়, অর্থাৎ বেশি কষ্টসাধ্য। তাই জড়তা বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে এবং প্রকৃতপক্ষে ভর হলো বস্তুর জড়তার পরিমাপ। উভয় প্রকার জড়তার ক্ষেত্রেই যে বস্তুর ভর যত বেশি তার জড়তা তত বেশি।

যে বল সৃষ্টির জন্য দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের প্রয়োজন হয় তাকে স্পর্শ বল বলে। অপরদিকে দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ্ সংস্পর্শ ছাড়াই যে বল ক্রিয়া করে তাকে অস্পর্শ বল বলে।
সংজ্ঞানুসারে, অস্পর্শ বল দূর হতেই ক্রিযা করতে পারে যেখানে স্পর্শবলসমূহ বস্তুর উপর ক্রিয়া করার জন্য সংস্পর্শের প্রয়োজন হয়।

নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া বল সমান ও বিপরীতমুখী। এদের লব্ধি শূন্য হতো যদি এরা একই বস্তুর উপর ক্রিয়া করতো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বল দুটি ভিন্ন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে, অর্থাৎ একটি বস্তুর উপর একটিমাত্র বল ক্রিয়া করে। এক্ষেত্রে ঐ বস্তুতে তৃতীয় কোনো বল প্রযুক্ত না হলে তাতে গতির পরিবর্তন তথা ত্বরণ সৃষ্টি হয়। ফলে স্থির বস্তুতে গতির সিৃষ্টি হয়।

একাধিক বস্তুর মধ্যে শুধু ক্রিয়া ও প্রতিক্রিযা ছাড়া অন্য কোনো বল কাজ না করলে কোনো নির্দিষ্ট দিকে তাদের মোট ভরবেগের কোনো পরিবর্তন হবে না। রাইফেলের পশ্চাৎ বেগের কারণ হলো, গুলির ভরবেগ। ভরবেগের সংরক্ষণশীলতা নীতি অনুযায়ী গুলির ভরবেগের সমান ও বিপরীত ভরবেগ রাইফেল অর্জন করায় পশ্চাৎ বেগ অর্জন করে।