দুটি বস্তুর তাপ সমান হলেও তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে, কারণ বস্তুর তাপমাত্রা তাদের তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না, বরং নির্ভর করে বস্তুর তাপীয় অবস্থার ওপর। একই উপাদানের কিন্তু ভিন্ন আকারের দুটি বস্তুর তাপের পরিমাণ সমান হলে ক্ষুদ্রতর বস্তুটির তাপমাত্রা বেশি হবে।

কোনো পদার্থের একক পুরুত্ব এবং একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোনো খন্ডের দুই বিপরীত সমান্তরাল পৃষ্ঠের তাপমাত্রার পার্থক্য 1 K হলে, প্রতি সেকেন্ডে এর উষ্ণ পৃষ্ঠ থেকে শীতল পৃষ্ঠে লম্বভাবে যে পরিমাণ তাপ পরিবহন পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয় তাকে ঐ পদার্থের তাপ পরিবাহকত্ব বলে।

(ক) পরিবহন: মাধ্যমের কণাগুলোর স্থানচ্যুতি ঘটে না।
পরিচলন: মাধ্যমের কণাগুলোর স্থানচ্যুতি ঘটে।
(খ) পরিবহন: সকল সম্ভাব্য পথে তাপ সঞ্চালিত হয়।
পরিচলন: মাধ্যমের উত্ত্প্ত অণুগুলোর প্রবাহ রেখা অনুযায়ী তাপ সঞ্চালিত হয়।
(গ) পরিবহন: এটি একটি ধীর পদ্ধতি।
পরিচলন: এটি পরিবহনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দ্রুত পদ্ধতি।
(ঘ) পরিবহন: সাধারণত কঠিন পদার্থে এ পদ্ধতি তাপ সঞ্চালিত হয়।
পরিচলন: তরল ও বায়বীয় পদার্থে তাপ সঞ্চালিত হয়।

`1m^3`েআয়তন বিশিষ্ট কোন কঠিন বস্তুর তাপমাত্রা 1 K বৃদ্ধি করলে ঐ বস্তুর আয়তন যতটুকু বৃদ্ধি পায় তাকে ঐ বস্তুর উপাদানের আয়তন প্রসারণ সহগ বলে।

যে তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট চাপে কোন তরল পদার্থে স্ফুটন সংঘটিত হয় অর্থাৎ তরল ফুটতে থাকে তাকে স্ফুটনাংক বলে।