কোনো পাত্রের কিছু তরল পদার্থ নিয়ে তাতে তাপ প্রয়োগ করলে পাত্রটি প্রথমে তাপ গ্রহণ করে এবং প্রসারিত হয়। তাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখলে তরল প্রাথমিক উচ্চতা ছাড়িয়ে উপরে ওঠে। এ অবস্থায় তরলের প্রসারণ মনে হবে তরলের প্রাথমিক উচ্চতার উপরের অংশটুকু। কিন্তু প্রকৃত প্রসারণ হবে পাত্রের প্রসারণের পর তরল যখন নিচে নামল সেই উচ্চতা থেকে তরলের প্রসারণের ফলে তৈরি হওয়া সর্বোচ্চ উচ্চতা পর্যন্ত। অর্থাৎ, তরলের প্রকৃত প্রসারণ `DeltaV_r`, তরলের আপাত প্রসারণ `DeltaV_a` এবং পাত্রের প্রসারণ `DeltaV_g` হলে, `DeltaV_r` = `DeltaV_a` + `DeltaV_g`

1kg ভরের কোনো বস্তুর তাপমাত্রা 1K বাড়াতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক তাপ বলে।

আপেক্ষিক তাপ বস্তুর উপাদানের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। তাই সমান ভরের বিভিন্ন বস্তুর একই পরিমাণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্যে বিভিন্ন পরিমাণ তাপ দরকার। তাই কেবল কোনো বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক তাপ জানা থাকলেই ঐ বস্তুর নির্দিষ্ট পরিমাণের জন্যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপ নির্ণয় করা সম্ভব।

তাপের একককে ভরের একক এবং তাপমাত্রার একক দিয়ে ভাগ করলে আপেক্ষিক তাপের একক পাওয়া যায়।

পানির আপেক্ষিক তাপ খুব বেশি হওয়ার কারণে স্থলভাগে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপমাত্রার পরিবর্তনের তুলনায় দ্বীপ অঞ্চলের তাপমাত্রার পরিবর্তন খুব কম হয়। একারণে শীত ও গ্রীষ্মের সময় মধ্য এশিয়ায় তাপমাত্রার পার্থক্য যত হয়, দ্বীপ অঞ্চলে পার্থক্য তার চেয়ে অনেক কম হয়।
পানির উচ্চ আপেক্ষিক তাপের কারণে শীতলীকারক হিসেবে পানি বহুল ব্যবহৃত হয়।