বায়ু অপেক্ষা পানির ঘনত্ব বেশি হওয়ায় পানিতে শব্দের বেগ বেশি। আমরা জানি, শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন এবং বায়ুর তুলনায় পানির স্থিতিস্থাপকতা ধর্ম অনেক বেশি। তাই একই কম্পাঙ্কের শব্দ যখন বায়ু ও পানির মধ্য দিয়ে গমন করে, তখন বায়ুর তুলনায় পানিতে সৃষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃহত্তর মানের হয়। তাই `v = flambda` 
সূত্রানুসারে কম্পাঙ্ক (f) ধ্রুব থাকায় বায়ু অপেক্ষা পানিতে শব্দের বেগ বেশি হয়।

শব্দের তীব্রতা `2m^(-2)` বলতে বুঝায় শব্দ বিস্তারের অভিমুখে লম্বভাবে `1m^2` ক্ষেত্রফলের মধ্যে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে 2J শব্দশক্তি প্রবাহিত হয়।

সব প্রতিফলিত শব্দ প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করতে পারে না।
কোনো শ্বদ শোনার পর সেই শব্দের রেশ প্রায় 1/10 সেকেন্ড পর্যন্ত আমাদের মস্তিষ্কে থেকে যায়। ফলে কোনো শব্দের প্রতিধ্বনি শুনতে হলে প্রতিফলককে উৎস থেকে এমন দূরত্বে রাখতে হবে যেন মূল শ্বদ প্রতিফলিত হয়ে কানে ফিরে আসতে অন্তত 1/10 সেকেন্ড সময় নেয়। 
0.1 সেকেন্ডের কম সময়ে আগত প্রতিফলিত শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায় না বলে সব প্রতিফলিত শ্বদ প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করতে পারে না।

যান্ত্রিক তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য বা অনুপ্রস্থ তরঙ্গ যাই হোক না কেন এটি মাধ্যমের সংকোচন ও প্রাসরণ কিংবা মাধ্যমকে স্পন্দিত করে মাধ্যমের সাথে সমকোণ উৎপন্ন করে অগ্রসর হয়। এই স্পন্দন উৎপন্ন করার জন্য স্থিতিস্থাপক জড় মাধ্যম অত্যাবশ্যক এবং অপরিহার্য। শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ; যা কঠিন, তরল ও বায়বীয় যেকোনো স্থিতিস্থাপক জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে পারে।

শূন্য মাধ্যমে কোনো কম্পন হয় না বলে এ মাধ্যমে শব্দ অগ্রস হতে পারে না। 
আমরা জানি, শব্দের উৎপত্তি হয় বস্তুর কম্পনের ফলে। শব্দ শোনার জন্য বস্তুর কম্পনকে আমাদের কানে পৌঁছাতে হবে। সুতরাং শব্দের উৎস ও কানের মাঝে একটি জড় স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, যার কণাগুলো পর্যায়ক্রমে কম্পিত হয়ে উৎসের কম্পন সামনের দিকে এগিয়ে দিবে। শূন্য মাধ্যমে উৎসের কম্পন কোনো আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারে না। এ কারণে শূন্য মাধ্যমে শব্দ অগ্রসর হতে পারে না।