নিউটনের প্রথম সূত্রে বলা হয়েছে, বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তুর স্থির এবং গতিশীল বস্তুর গতিশীল থাকতে চায়, অর্থাৎ বস্তু মাত্রই তার অবস্থা অক্ষুন্ন রাখতে চায়। একে জড়তা বলে। আর বল হচ্ছে এর গতীয় অবস্থা পরিবর্তনের কারণ। এ থেকে বলের ধারণা পাওয়া যায়।

বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে অর্থাৎ বস্তুর ওপর বলের লব্ধি শূন্য হলে স্থির বস্তু স্থির্ড িথাকবে এবং গতিশীল বস্তুর সুষম দ্রুতিতে সরলপথে চলতে থাকবে।

মোটা কম্বল ঝুলিয়ে রেখে বেত দিয়ে আঘাত করলে কম্বলের সব জায়গায় আঘাত সমানভাবে পড়ে না। ফলে স্থিতি জড়তার কারণে কম্বলের ধূলোবালি ঝড়ে পড়ে এবং কম্বলটি গতি জড়তার কারণে দূরে সরে যায়।

আমরা জানি, সময়ের সাথে বস্তুর বেগ এর পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে। যখন সময়ের সাথে বস্তুর বেগ হ্রাস পায় তখন বেগ হ্রাসের হারকে ঋণাত্মক ত্বরণ বলা হয়। একে মন্দনও বলা হয়।

নৌকা হতে লাফ দেয়ার পূর্বে আরোহী ও নৌকা উভয়ই স্থির থাকে, ফলে তাদের মোট ভরবেগ শূন্য । লাফ দিলে আরোহী বেগ প্রাপ্ত হয়ে সম্মুখ দিকে এগিয়ে যায়, অর্থাৎ সম্মুখ দিকে ভরবেগ প্রাপ্ত হয়। ভরবেগের নিত্যতা সূত্রানুযায়ী, লাফের পর মোট ভরবেগের মান শূন্য হবে। তাই দেখা যায় নৌক সমান ভরবেগে পিছনের দিকে সরে যায়।