ঘর্ষণের সুবিধাসমূহঃ
(ক) ঘর্ষণ না থাকলে হাটতে পারতাম না।
(খ) পেরেক বা স্ক্রু আটা সম্ভব হতো না।
(গ) দড়িতে কোনো গিরো দেওয়া যেত না।

তেল, মবিল এবং গ্রীজ জাতীয় পদার্থকে সংক্ষেপে লুব্রিকেন্ট বলে।

একাধিক বস্তুর মধ্যে শুধু ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনো বল কাজ না করলে কোনো নির্দিষ্ট্ দিকে তাদের মোট ভরবেগের কোনো পরিবর্তন হবে না।

নিউটনের গতির দ্বিতীয় সূত্রটি হলো- “বস্তুর ভর বেগের পরিবর্তন হার এর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন ও সেদিকে ঘটে।” ধরা যাক, m ভরবিশিষ্ট একটি বস্তু u আদিবেগে চলছে। এখন F ধ্রুবক বল বস্তুর উপর t সময় ধরে বেগের অভিমুখে ক্রিয়া করায় এর বেগ u হতে পরিবর্তিত হয়ে v হলো।
এক্ষেত্রে বস্তুটির ভরবেগের পরিবর্তনের হার = `(mv-mu)/v=m((v-u)/t)=ma
সুতরাং নিউটনের গতি দ্বিতীয় সূত্রানুসারে `ma prop F` বা ma = kF; এখানে k-একটি সমানুপাতি ধ্রুবক।

যখন একটি বস্তু অন্য একটি বস্তুর তথা তলের উপর দিয়ে পিছলিয়ে বা ঘষে চলতে চেষ্টা করে বা চলে তখন যে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়ে তা হলো বিসর্প ঘর্ষণ এবং যখন একটি বস্তু অপর একটি তলের উপর দিয়ে গড়িয়ে চলে তখন গতির বিরুদ্ধে যে ঘর্ষণ ক্রিয়া করে তা হলো আবর্থ ঘর্ষণ।
সুতরাং সমতল পৃষ্ঠসমূহ বিসর্প ঘর্ষণের সম্মুখীন হয় এবং গোলাকার পৃষ্ঠসমূহ আবর্ত ঘর্ষণ মোকাবেলা করে। নিঃসন্দেহে বিসর্প ঘর্ষণের তুলনায় আবর্ত ঘর্ষণের মান অনেক কম।