যে খাদ্যে খাদ্যের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ মতো থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে। কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ  না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও সহজে রোগে আক্রান্ত করে। তাই আমাদের বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।

একটি বার্গারে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি থাকে। তারপরও বার্গার অতিরিক্ত খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, বার্গার এক ধরনের জাঙ্ক ফুড। জাঙ্ক ফুড সুস্বাদু হলেও সুষম খাদ্য নয়। জাঙ্ক ফুডে অদ্যাধিক চিনি, লবণ, ও চর্বি থাকে যা আমাদের শরীরে খুব সামান্যই দরকার হয়। সাধারণ অতিক্তি জাঙ্ক ফুড তথা বার্গার গ্রহণে আমাদের শরীরে পুষ্টি হীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সুষম খাদ্যে সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ মতো থাকে। তাই সুষম খাদ্য পেতে হলে আমাদের খাদ্যের প্রতিটি দল থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য উপাদান নির্বাচন করতে হবে।

খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা নানাভাবে উপকৃত হই। কিন্তু খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ফরমালিন, ফল পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন- কার্বাইড ব্যবহার করে। ফলে এ সকল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃত অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। শরীরের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। অ্যাজমা ও ক্যান্সার হতে পারে।
তাই খাদ্যে রাসায়নিক ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সুষম খাদ্যে ছয়টি খাদ্য উপাদান থাকে। যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের দেহে বাড়তি শক্তি যোগান দেওয়ার জন্য নিয়ীমত খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিরুৎসাহিত করতে আমার করণীয় তিনটি বাক্যে নিচে লেখা হলো-
১. অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীর ভারী হয়ে খেলাধুলার আগহ্য হারিয়ে ফেলার বিষয়টি বুঝাবে।
২. অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে দেহে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টির বিষয়টি বুঝাবে।
৩. অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীর অসুস্থ হলে পড়ালেখার বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি বুঝাবে।