বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন-
১. খাদ্যের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ ঠিক রেখে খাদ্য দ্রব্যকে উচ্চতাপে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয।
২. উচ্চতাপে জীবাণু ধ্বংস করে বদ্ধ পাত্রে মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
৩. বরফ জমানো ঠাণ্ডায় চিংড়ি মাছ, মাংস, মটরশুঁটি, গাজর, টমেটো, ঢেঁড়স ইত্যাদি পাঁচ-ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
৪. হিমাগারে দীর্ঘ সময়ের জন্য আলু, পিঁয়াজ, গাজর ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয়।
৫. লকা, চিনি, সিরকা ও তেলের মধ্যে পচনকারী জীবাণু জমাতে পারে না বলে এসবের মধ্যে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়।

সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ-
১. কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন যা আমরা সুষম খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি।
২. প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়।
৩. সুষম খাদ্যের অভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
৪. অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয়।
৫. অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজনজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আমাদের বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের ৫টি উপায় হলো-
১. চাল, গম, ডাল ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
২. হিমাগারে বা ফ্রিজের ঠাণ্ডায় মাছ, মাংস, শাকসবজি ইত্যাদি বেশ কিছুদিন ভালো থাকে।
৩. ফল থেকে তৈরি জ্যাম, জেলি, আচার ইত্যাদি বায়ু রোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।
৪. লবন বা বরফ দিয়ে মাছ সংরক্ষণ করা যায়।
৫. চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে জলপাই, বরই, আম ইত্যাদি অনেকদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব।

খাদ্য সংরক্ষণ অপচয় রোধ করতে ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে। মাছ, মাংস সবজি, ফল, দুগ্ধজাত খাদ্য ইত্যাদি খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচে নষ্ট হয়ে যায়। খাদ্য সংরক্ষণ খাবারে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্য সারাবছর পাওয়া যায়। এছাড়া খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যম অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ কা যায়।

জাঙ্কফুড হচ্ছে এক ধরণের কৃত্রিম খাদ্য, যাতে চর্বি, লবণ, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দব্য বেশি পরিমাণে থাকে।